রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের কাছে একপ্রকার অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান দল। শেষ দিনে বাংলাদেশি দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয় দলটি। এর আগে, প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানি বোলারদের পিটিয়ে ৫৬৫ রানের পাহাড়সহ স্কোর গড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শেষ পর্যন্ত হার দেখতে হয় ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
বাংলাদেশের কাছে এই ঐতিহাসিক পরাজয়ের পরে নাকি অশান্তি দেখা দিয়েছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুমে। সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম জিও সুপার।
পাকিস্তান দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে ৪ পেসারকে খেলিয়েছে। তবে শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আলি কিংবা খুররম শেহজাদ; কেউই তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম-সাদমান ইসলামদের ওপর।
জিও সুপারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিম ম্যানেজমেন্ট ও সিনিয়র ক্রিকেটাররা পেসারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট ছিলেন না। এটাও জানা গেছে, পেসারদের উইকেটের ঘাসের সুবিধা নিতে না পারা ও কম গতি নিয়েও ড্রেসিংরুমে আলোচনা-সমালোচনা করা হয়েছে।
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে নাসিম ৩টি ও শাহিন, শেহজাদ ও আলি দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন। তবে তাদের প্রত্যেকেই রান দিয়েছেন নব্বইয়ের বেশি বা এর আশে-পাশে। এর ফলে ওই ইনিংসে ৫৬৫ রানের বিশাল স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ১৯১ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম।
0 Comments